1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ইকোনমিক জোনগুলোকে দ্রুত প্রস্তুতের দাবি উদ্যোক্তাদের

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০
  • ১৫৫ Time View
ইকোনমিক জোনগুলোকে দ্রুত প্রস্তুতের দাবি উদ্যোক্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ দ্রুত প্রস্তুত করার দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সরকারি কাজের তুলনায় বেসরকারি কাজ বেশি গতিশীল। এ জন্য সরকারি কাজের গতি বেসরকারি খাতের সমানুপাতিক হওয়াও জরুরি বলে মনে করেন তারা।

বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর জন্য ২০১৫ সালে শুরু হয় সারা দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার কাজ। চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে এসব ইকোনমিক জোনের মৌলিক অবকাঠামো প্রস্তুত করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বেজার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৮৮টি জোনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার একটি তালিকা বেজার ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে শতভাগ বেসরকারি খাতের জন্য যে ১০টি ইকোনমিক জোন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর কাজের অগ্রগতি বেশ সন্তোষজনক।

এ ছাড়া সারা দেশের ১০০টি জোনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এমন দেশি-বিদেশি ১৩২টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। এর মধ্যে দুয়েকটি জোনে ইতোমধ্যে শিল্প কারখানা স্থাপন করে উৎপাদনেও চলে গেছে। কিন্তু সরকারি খাতের জোনগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (মিরেরসরাই) কাজের অগ্রগতিই চোখে পড়ার মতো। অবশ্য এটিই হবে দেশের সবচেয়ে বড় ইকোনমিক জোন। মূলত এটি হবে একটি ইকোনমিক হাব। যেখানে থাকবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। এই জোন সরাসরি যুক্ত হবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সঙ্গে। যা পণ্য উৎপাদন ও পরিবহন ব্যবস্থাকে করবে অত্যন্ত সহজ। ৩০ হাজার একরের বেশি জমি নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে এই জোন।

বেজার তথ্যমতে, এই জোনেই অন্তত ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া বাকিগুলোর কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। তবে বিদেশি ইকোনমিক জোনগুলোর কাজের অগ্রগতিও বেশ ভালো বলে জানিয়েছে বেজা কর্তৃপক্ষ। চীন, জাপান, ভারত ও কোরিয়াকে দেওয়া হয়েছে ৫টি ইকোনমিক জোন। এগুলোর অবকাঠামোর উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চললেও রয়েছে অন্য জটিলতা। এর মধ্যে জমি ইজারার ওপর নতুন করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা।
প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় উচ্চ হারের করপোরেট ট্যাক্স তো রয়েছেই। যা দীর্ঘদিন দাবি করা হলেও কমানো হয়নি চলতি বাজেটেও। তবে ট্যাক্স হলিডে সুবিধা বহাল রয়েছে। আবার কোরিয়ার ক্ষেত্রে জমি বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, একযোগে অনেক কাজ হচ্ছে। এ জন্য অগ্রগতিটা চোখে পড়ছে কম। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোনটি প্রস্তুত হলে বিনিয়োগ অনেকখানি বেড়ে যাবে। এতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের জমি সংক্রান্ত আর কোনো সমস্যা থাকবে না। বিনিয়োগে চমৎকার পরিবেশ তৈরি হবে দেশব্যাপী। শিল্প বিপ্লব হয়ে যাবে। এতে দেশের জিডিপি অন্তত ২ শতাংশ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, সম্প্রতি চীন থেকে অনেক জাপানি কোম্পানি তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছে। সে সব কোম্পানিকে যেভাবে আকর্ষণ করছে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া আমরা কিন্তু সেটা পারছি না। ফলে এটাকে আমলে নিতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগের বাধাগুলো দূর করতে হবে। অন্যথায় বিদেশি বিনিয়োগ আনা বেশ কঠিনই হবে বলে তিনি মনে করেন।

বেজা সূত্র জানায়, ২৮টি জোনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আর ৮টি জোনে স্থাপিত শিল্প কারখানা উৎপাদনে রয়েছে। এসব শিল্পের উৎপাদিত পণ্য বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশে রফতানিও হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, জোনগুলোর কাজ শেষ হলে শিল্প উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়বে এবং দুয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের রফতানি আয় দাঁড়াবে ৫০ বিলিয়ন ডলারে। তবে এর জন্য ইকোনমিক জোনগুলোতে জমি বরাদ্দ পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি জানিয়েছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে ব্যাংক ঋণের মর্টগেজসহ কর ও ভ্যাটনীতি আরও সহজ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এখানে একটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর তা হলো নীতি এবং সিদ্ধান্ত। এখানে নীতি প্রণয়ন আর সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক সময় ব্যয় হয়ে যায়। যা অন্য প্রতিযোগী দেশগুলোর বেলায় ঠিক উল্টো। এখানেই তো আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এই চীন থেকে কত কোম্পানি অন্য দেশে চলে গেল কিন্তু বাংলাদেশে আসছে না। এর কারণ হচ্ছে আমরা তো বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রটাকে শতভাগ প্রস্তুত করতে পারিনি। এ ছাড়া অনেক জায়গায় আরও সমস্যা রয়ে গেছে। আগে যারা এখানে বিনিয়োগ করতে এসেছেন তাদের অভিজ্ঞতাও তো ভালো নয়। সেটাও একটা নেতিবাচক সিগনাল দেয় অন্যদের। ফলে এই ১০০টি ইকোনমিক জোনের কথা বলা হচ্ছে এগুলো তো আগে প্রস্তুত করতে হবে।

যেমন উদ্যোক্তারা শুধু মেশিন বসিয়েই উৎপাদনে যেতে পারেন সে কাজটা করতে হবে। পৃথিবীর বহু দেশ যেমন ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড তারা কিন্তু সে কাজটাই করছে। যা আমরা করতে পারছি না। ফলে আমাদের তো বিনিয়োগের ক্ষেত্রটাকে আগে প্রস্তুত করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..